ট্যুরিজম ব্যবসা কিভাবে করবো? ট্যুরিজম ব্যবসা করার নিয়ম সুবিধা, অসুবিধা বিস্তারিত

ট্যুরিজম ব্যবসা কিভাবে করবো? ট্যুরিজম ব্যবসা করার নিয়ম সুবিধা, অসুবিধা বিস্তারিত


Posted on: 2022-01-16 23:28:08 | Posted by: eibbuy.com
ট্যুরিজম ব্যবসা কিভাবে করবো? ট্যুরিজম ব্যবসা করার নিয়ম সুবিধা, অসুবিধা বিস্তারিত

ট্যুরিজম ব্যবসা কিভাবে করবো? ট্যুরিজম ব্যবসা করার নিয়ম সুবিধা, অসুবিধা বিস্তারিত
আলোচনা করবঃ

আজকের আর্টিকেলে আমরা ট্যুরিজম ব্যবসা কি, কিভাবে আপনারা ট্যুরিজম ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।

বাঙালী ভ্রমন প্রিয় জাতি হিসেবে পরিচিত।এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এ রাজ্যে বেড়াতে

 আসেন।  আপনি ঘুরা ঘুরি বা ভ্রমণ বিষয়ে দক্ষ হোন তবে এটিকে কেন্দ্র করে আপনি ট্যুরিজম ব্যবসা  শুরু করে দিতে পারেন। আজকের ব্যস্ততার যুগে অনেকের পক্ষেই নিজের ভ্রমনের সক্ল ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না । ট্যুরিজম ব্যবসার মাধ্যমে আপনি তাদের ভ্রমনকে সহজ করে দিতে পারেন। এমনিতেও বর্তমান চাকরির বাজারে যে প্রতিযোগিতা এক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হওয়া খুবই জরুরি।অত্যন্ত কম খরচেই  ট্যুরিজম ব্যবসা শুরু করে দেওয়া সম্ভব।বেড়ানোর ফ্যাশন,খুটিনাটির প্রতি নজর ,মানুষের সাথে সংযোগ  তৈরি,সু সর্ম্পক বজায় রাখার ক্ষমতা,এই কয়েকটি জিনিসকে পুঁজি করে শুরু করে দিতে পারেন ট্যুরিজম ব্যবসা।আপনি ঘরে বসেই শুরু করে দিতে পারেন ট্যুরিজম ব্যবসা।

চলুন নিচে ধাপে ধাপে ট্যুরিজম  ব্যবসার বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

ট্যুরিজম ব্যবসা কি?

কাজের ও পরিষেবার ভিত্তিতে নানা ধরনের ট্রাভেল এজেন্সি হতে পারে। একটি ট্রাভেল এজেন্সিই পারে সব ধরনের পরিষেবা দিতে,ট্রাভেল এজেন্সির কাজ হতে পারে ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কেটে দেওয়া, হোটেল বুকিং করা,ট্রাভেল প্যাকেজ বিক্রি করা বা ট্রাভেলারদের সুবিধার্থে নিজেরাই ট্যুর অর্গানাইজ করা।

ছোট ট্রাভেল এজেন্সি গুলো এক বা দুটি পরিষেবা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। আবার অনেক ট্রাভেল এজেন্সি গুলোতে নিজেরা  ট্রাভেল প্যাকেজ তৈরি করে বিক্রি করা যায়।ট্রাভেল প্যাকেজের  মাধ্যমে  নিজেরা টিকিটের ব্যবস্থা, হোটেল,খাওয়া দাওয়া,স্থানীয় যাতায়ত সহ সব কিছুর ব্যবস্থা করা থাকবে,এতে ট্রাভেলার পুরো ট্রাভেল প্যাকেজের জন্য আপনাকে মূল্য দেবেন। সব থেকে মজাদার ও চ্যালেঞ্জিং  ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা হলো ট্যুর প্যাকেজ  বিক্রি করা।

ট্রাভেল এজেন্সির কাজ হলো  আপনি ভ্রমণে গিয়ে কোথায় থাকবেন, কোথায় ঘুরবেন, কোথায় খাবেন ইত্যাদি যাবতীয় জিনিসের ব্যাবস্থা করে দেওয়া।  এর ফলে আপনার সময় নষ্ট হলোনা, পাশাপাশি আপনি রেডিমেট ভ্রমণের আনন্দ নিতে পারছেন।

কম পুঁজি বিনিয়োগ করে যারা লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন তাদের জন্য ট্যুরিজম ব্যবসার আইডিয়াটা সবথেকে সেটা হতে পারে।

ট্যুরিজম ব্যবসা করার নিয়মঃ

ট্যুরিজম ব্যবসা কিভাবে শুরু করা যায় সে বিষয়টা ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলো। নিচে উল্লেখিত ধাপগুলো মেনে আপনারা ট্যুরিজম ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

১. পরিকল্পনা

ট্যুরিজম বিজনেস শুরুর পূর্বে যে বিষয়টি সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে পরিকল্পনা।প্রথমেই ঠিক করে নিন ট্রাভেলারদের কোন কোন জায়গায় নিয়ে যাবেন। সেই জায়গা সর্ম্পকে আপনার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। পরিকল্পনা ছাড়া আপনি এই বিজনেসে সুফল হতে পারবেন না। পরিকল্পনা বলতে কতজনকে নিয়ে আপনি এই বিজনেস শুরু করতে চান, ভ্রমণ সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা কতটা, গ্রাহকদের সুবিধার্থে আপনি কি কি করতে পারেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আপনাকে প্রথমে চিন্তা করতে হবে।ট্রাভেলাররা যেখানে বেড়াতে যাবেন সেখানের হোটেলের লোকদের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে  ঠিক করে নিতে হবে,আপনি গ্রাহকদের নিয়ে গেলে কি কি সুযোগ সুবিধা দিতে পারবে। শুধুমাত্র এই বিজনেস বলে কথা নেই, প্রত্যেকটি বিজনেস আরম্ভ করার আগে একটি পারফেক্ট বিজনেস প্ল্যান তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ট্যুরিজম ব্যবসা করতে হলে আপনাকে সবসময়ই  নতুন নতুন জায়গার খোজ চালিয়ে যেতে হবে, ট্রাভেলারদের জন্য  নতুন নতুন জায়গায় বেড়ানো সর্ম্পকে আইডিয়া পরিকল্পনা করে রাখতে,যাতে আপনি আপনার ব্যবসার অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকতে পারেন।

২. ট্যুরিজম বিজনেসের জন্য স্থান নির্ধারণ

 ট্যুরিজম ব্যবসার জন্য  আপনি আলাদা একটি স্থান নির্ধারণ করতে পারেন। তবে কোনো দোকান দিতে হবে এমন না। আপনি ইচ্ছে করলে আপনার বাড়িতেই আপনার অফিস বানিয়ে নিতে পারেন। যেখানে আপনার কাজের সুবিধা হয় সেখানে আপনি স্থান নির্বাচন করতে পারেন।

৩. ভ্রমন পরিচালনা করে আগে যা যা করবেন

 ট্যুরিজম ব্যবসা পরিচালনা করার পূর্বে কিছু বিষয় সম্পর্কে আপনাকে বিশেষ ধারনা দিতে হবে। যেমন;  যেখানে ভ্রমণ করবেন সে জায়গার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে যে জায়গাটিকে আপনি ভ্রমণের জন্য উপযোগী মনে করছেন সেটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যাতে নতুন জায়গায় ভ্রমণ পরিচালনা করতে আপনাকে কোনো অসুবিধাই পড়তে না হয়। হোটেলেরে লোকদের সাথে চুক্তি করে রাখতে হবে আপনাকে কি সুযোগ সুবিধা দিবে,আপনার ট্রাভেল এজেন্সিকে কত শতাংশ কমিশন দেবে,  সাধারনত বুকিং্যের ১০ থেকে ২০ শতাংশ ট্রাভেল এজেন্সি পেয়ে থাকেন,সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

যাতায়াত ব্যবস্থাঃ ভ্রমণ যে জায়গায় করবেন সেখানের যাতায়াত ব্যাবস্থা কেমন, কিভাবে যাবেন, খরচ কেমন পড়বে সে বিষয়ে জেনে নিন।এছাড়া  স্থানীয় পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে গাড়ির ব্যবস্থা সর্ম্পকে জেনে হবে।

 থাকা খাওয়াঃ ভ্রমণে গিয়ে কোথায় থাকবেন, কোথায় খাবেন এসব বিষয় আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। প্রয়োজনে বুক করে রাখুন এটা সবথেকে ভালো হয়। এছাড়াও ভ্রমণে যেখানে করবেন সে জায়গার তথ্য এবং ছবি কাস্টমারকে আগে থেকে বুঝিয়ে দিতে হবে।

৪. বিজ্ঞাপন

ট্যুরিজম ব্যবসার জন্য আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকা বাঞ্চনীয়। শুরুতে একটি ফ্রী ওয়েবসাইটও বানিয়ে নিতে পারেন। সেখানে আপনার ট্যুরিজম ব্যবসার যাবতীয় পরিষেবা সর্ম্পকে জানাতে পারবেন।

বিজনেসের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞাপন ছাড়া আপনার বিজনেস এর সম্পর্কে কেউ জানতে পারবে না। আপনাদের যে যে আইটেনারি রয়েছে  সে বিষয়ে বিবরণ দিতে হবে, কোন স্থানের কত মূল্য ধার্য করা হয়েছে,তা উল্লেখ করে দেওয়া। ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েবসাইটকে আকর্ষনীয় করে তুলতে প্রচুর সংখ্যক উচ্চমানের ছবি ব্যবহার করা।যাতে ছবি দেখেই গ্রাহকরা আপনার ট্যুর প্যাকেজ নিতে আগ্রহী হন। এছাড়া  এলাকাভিত্তিক প্রোগ্রাম করতে পারেন। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পত্রিকা দ্বারা প্রচারণার কাজ চালাতে পারেন। এছাড়াও একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেটির মাধ্যমেও মার্কেটিং করতে পারেন।

৫. নিরাপত্তা

যেহেতু আপনি একটি  ট্যুরিজম ব্যবসা পরিচালনা করবেন সেহেতু অবশ্যই এর নিরাপত্তার বিষয়টা আপনাকে ভালোমতো দেখতে হবে। নিরাপত্তার দিক দেখার জন্য আলাদা একজনকে রাখতে পারেন।

ট্যুরিজম ব্যবসা করার সুবিধা ও অসুবিধাঃ

প্রত্যেক ব্যবসার কিছু ভালো দিক এবং খারাপ দিক অবশ্যই থাকে। যেহেতু আজকে আমরা ট্যুরিজম ব্যবসা নিয়ে কথা বলছি সেহেতু চলুন এই ব্যবসার সুবিধা বা অসুবিধাগুলো কি কি সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

ট্যুরিজম ব্যবসার সুবিধাঃ

১. বিনিয়োগ বিষয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন পড়েনা। প্রয়োজন শুধু দক্ষতা, পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ের। তাহলেই দ্রুত সফলতা পাওয়া যায়।

২. ঘুরাঘুরির পাশাপাশি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। ভ্রমণ প্রিয়দের শান্তি মেলে ভ্রমণ করে। ঘুরাঘুরি বিষয় নিয়ে তাদের যত আনন্দ। এক্ষেত্রে এই ব্যবসা করে নিজের আনন্দের পাশাপাশি অন্যকে আনন্দ দেওয়া যায়। পাশাপাশি ভালো মাপের টাকা আয় করা যায়।

৩. বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। ভ্রমণের বিষয়ে আপনি গ্রাহকদের যে যে সাহায্য করবেন সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি সফল হবেন।

৪. জনপ্রিয় ,লাভজনক এবং আনন্দদায়ক একটি পেশা এটি।

ট্যুরিজম ব্যবসার অসুবিধাঃ
এই ব্যবসার বড় কোনো অসুবিধা নেই। তবে আপনাকে কিছু সমস্যায় পড়তে হতে পারে যেমন; গ্রাহকদের ভ্রমণের আনন্দ দিতে না পারলে তারা আপনাকে আর তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনার কাজ দেবে না, আপনি লাভও ততটা করতে পারবেন না। এছাড়াও একটি পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে আপনকে


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js